প্রথমবার বাংলাদেশে আসছেন পবিত্র কাবা শরীফের সাবেক ইমাম শায়েখ ড. হাসান বোখারী।
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের রঘুনাথপুর দারুল উলুম মহিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার দুদিন ব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলনে শুক্রবার অংশ নিয়ে পড়াবেন জুমার নামাজ। এতে লাখো মুসল্লি অংশ নেবে; সেজন্য মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান জানান প্রতিষ্ঠানটি মুহতামিম মাওলানা সালাহ উদ্দিন জাহাঙ্গীর।
সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা সালাহ উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে এখানকার এলাকায় দ্বীনি শিক্ষা প্রসারে ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। গত ১০ বছর বিশ্বের ও দেশবরেণ্য আলেম উলামায়ে কেরামের অংশগ্রহণে সম্মেলন হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। জুমার নামাজে ইমামতি করবেন কাবা শরীফের সাবেক ইমাম শায়েখ ড. হাসান বোখারী। তিনি হেলিকপ্টার যোগে এখানে এসে নামবেন। এই প্রথম দেশে কাবা শরীফের ইমাম আসছেন। এটি নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী ও চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকার জন্য সর্ববৃহৎ মহা সম্মেলন হবে। তিনি সকল ধর্মপ্রান মানুষদের জুমার নামাজে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন– ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফেনী জেলা সেক্রেটারি আলহাজ একরামুল হক ভূঁইয়া, হেফাজতে ইসলামের ফেনীর সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক, ইসলামী আন্দোলনের জেলা ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আলা উদ্দিন সাবেরী, সিন্দুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির আহমেদ পেয়ার, সমাজসেবক রবিউল হাসান, আব্দুর রশিদ জুয়েল, মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, প্রতিষ্ঠানের নায়েবে মোহতামীম মূফতি মোহাম্মদ হাসান, মাওলানা সাঈদ আহমেদ, বশির আহমেদ প্রমুখ।
প্রতিষ্ঠানের নায়েবে মোহতামীম মূফতি আহমাদুল্লাহ কাসেমীর সভাপতিত্বে ইসলামী মহাসম্মেলনে সৌদি আরবের মক্কার হারাম শরীফের প্রধান মূফতি শায়েখ মুহাম্মদ বিন মাতার আস–সেহলী, ভারতে দারুল উলুম দেওবন্দের হাদীস ও ফিকহ বিভাগের শিক্ষা সচিব শায়েখ আফজাল কাইমুরী, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মূফতি শামীম মজুমদার, মাওলানা আশেকে এলাহী, সাদ সাইফুল্লাহ মাদানী, আব্দুল্লাহ আল সালেহী, মেরাজুল হক বয়ান করবেন।
মহাসম্মেলনে আইন–শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ বিষয় জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুর রহমান বলেন, পুলিশ প্রতিনিয়ত সম্মেলন স্থল পর্যবেক্ষণে রেখেছে। ঐদিন ভিড় সামলাতে নানা প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সম্মেলন মঞ্চ ও বিভিন্ন পয়েন্টে শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।