যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলায় তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড পেয়েছিলেন মো. জাহিদুল ইসলাম (৫০)। সেই সাজা থেকে বাঁচতে ৮ বছর ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় পালিয়েও তার শেষ রক্ষা হয়নি। জাহিদুল ইসলাম উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের সেনেরখিল এলাকার গাভীওয়ালা মুন্সী মিয়ার বাড়ীর শেখ মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
সোমবার (১৯ জুন) রাতে সোনাগাজীর কাজীরহাট এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে মো. জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
থানা পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী বাদী হয়ে ফেনীর আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তিন মাস কারাগারে থাকার পর তিনি জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর আর আদালতে হাজির হননি। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত ২০১৮ সালে মো. জাহিদকে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে আত্মগোপনে থাকায় জাহিদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করতেন। গোপন সূত্রের মাধ্যমে জাহিদুলের মুঠোফোন নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করে পুলিশ। মুঠোফোন নম্বরের সূত্র ধরে সোমবার রাতে কাজীরহাট এলাকার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন দাইয়ান বলেন, যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলায় তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত জাহিদুল ইসলামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আবদুল্লাহ মামুন / আল /দীপ্ত সংবাদ