অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে কক্সবাজার টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা। দীর্ঘ ৭ বছর ৯ মাস পর হাইকোর্ট আদেশে মাছ ধরার অনুমতি পেয়েছেন জেলেরা। তবে এক্ষেত্রে রয়েছে ৫টি শর্ত।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠানো পত্রের সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সিভিল স্যুট শাখার সহকারী কমিশনার মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারকে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের রিট পিটিশনের রুলের আলোকে নাফ নদীতে বৈধভাবে মাছ ধরা কার্যক্রম চালু করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
শর্তসমূহ হল—
১. সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমানায় অভ্যন্তরে নাফ নদীতে শাহপরীর দ্বীপ হতে টেকনাফ জেটিঘাট পর্যন্ত মাছ ধরতে পারবে।
২ . জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বিজিবির ৫টি নির্ধারিত পোস্টে টোকেন/পরিচয়পত্র দেখাবে এবং মাছ–ধরা–শেষে–ফেরত আসার পর বিজিবির পোস্টে তল্লাশিতে বিজিবি সদস্যকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে। কোনো জেলে চেকপোস্টে না জানিয়ে মাছ ধরতে পারবে না।
৩. কোনোক্রমে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না।
৪. মৎস্য অধিদপ্তরের হালনাগাদকৃত নিবন্ধিত জেলেদের তালিকা বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রদান করা যেতে পারে। যাতে কোনক্রমে নিবন্ধিত জেলে ব্যতীত কেউ নাফ নদীতে মাছ ধরতে না পারে।
৫. এই অনুমোদন সম্পূর্ণ সাময়িক। তিন মাস পর সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ অনুমতি নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
নাফনদীতে মাছ ধরার অনুমতিপত্রটি হাতে পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে ৮ বছর পর আগামীকাল থেকে নাফ নদীতে মাছ শিকার শুরু হচ্ছে। জেলেরা সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমানার অভ্যন্তরে নাফ নদীতে শাহপরীর দ্বীপ হতে টেকনাফ জেটিঘাট পর্যন্ত মাছ ধরতে পারবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মাদক ও সীমান্তে চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে সরকার নাফ নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
এসএ