মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ, সামষ্টিক অর্থনীতির নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্য নিয়ে, ২০২৩–২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এতে আয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে, শতকরা সাড়ে ৭ ভাগ। আর মূল্যাস্ফীতি শতকরা ৬ ভাগে আটকাতে চান অর্থমন্ত্রী।
অর্থনীতির নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সোনালী দিনের প্রত্যাশায়, আজ জাতীয় সংসদে পঞ্চমবারের মতো জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ”উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে, স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে” শিরোনামে দেশের ৫২তম এই বাজেটে ব্যয়ের খাত অনেকটা আগের বছরগুলোর মতোই। বড় একটি অংশ ব্যয় হবে সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বেতন ভাতা, সুদ, ভর্তুকিসহ বিভিন্ন অনুন্নয়ন খাতে। করোনার ধাক্কা, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধসহ চলমান অর্থনীতির চাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা। শিক্ষায় থাকছে ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি টাকা, আর কৃষিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।
অর্থনীতির নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সোনালী দিনের প্রত্যাশায়, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পঞ্চমবারের মতো জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ।
”উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে, স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে” শিরোনামে দেশের ৫২তম এই বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা । এতে ব্যয়ের খাত অনেকটা আগের বছরগুলোর মতোই। বড় একটি অংশ ব্যয় হবে কর্মচারীদের বেতন ভাতা, সুদ, ভর্তুকিসহ বিভিন্ন অনুন্নয়ন খাতে। বাকিটা উন্নয়ন কাজে ব্যয় করে, অর্থমন্ত্রী মোট দেশজ উৎপাদন– জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চান সাড়ে সাত শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতিও আটকাতে চান তিনি।
করোনার ধাক্কা, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধসহ চলমান অর্থনীতির চাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা। শিক্ষায় থাকছে ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি টাকা, আর কৃষিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।
প্রান্তিক মানুষের সহায়তায় সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ থাকছে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২কোটি টাকা।
করমুক্ত আয় সীমা ৩ লাখ টাকার পরিবর্তে সাড়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এই সীমা ৪ লাখ টাকা।
এসব খরচের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা। এতে এনবিআরকে তুলতে হবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
এরপরও অর্থমন্ত্রীকে টানতে হবে ঘাটতি ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যা জিডিপির শতকরা পাঁচ দশমিক দুই ভাগ। এই ঘাটতি পূরণে দেশ–বিদেশ থেকে ঋণ নিতে হবে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি– এডিপির আকার ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। এতে সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত । এ খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮৭ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরে সর্বজনীন পেনশন চালু করতে চান অর্থমন্ত্রী। গঠন করা হবে এ সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ।
আল/দীপ্ত সংবাদ