যশোরে লাইনচ্যূত তেলবাহী ট্যাংকার সরিয়ে নেয়ার পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে সিঙ্গিয়া রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তেলবাহী ট্যাংকার সরিয়ে নেয়ার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। দুর্ঘটনার কারণে সাত ঘণ্টা বন্ধ ছিল রেল যোগাযোগ।
রেলওয়ে যশোরের ঊর্ধ্বতন উপ–সহকারী প্রকৌশলী মাহবুুব হাসান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে খুলনা থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন (রিলিফ ট্রেন) এসে কাজ শুরু করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাইনচ্যূত তেলবাহী ট্যাংকার সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর সাড়ে ১১টার দিকে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
বৃহস্পতিবার ভোর চারটার দিকে যশোরের সিঙ্গিয়া রেলস্টেশনের কাছে বসুন্দিয়ার বানিয়ারগাতি এলাকায় তেলবাহী ট্যাংকার লাইনচ্যূত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে দুর্ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি। তবে ট্রাংকারে থাকা ৪২ টন তেল নষ্ট হয়েছে। পড়ে যাওয়া তেল কুড়িয়ে নিয়েছে স্থানীয়রা।
যশোর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার আয়নাল হাসান জানান, নাটোরের উদ্দেশ্যে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্যাংকারটি যশোরের সিঙ্গিয়া স্টেশনে পৌঁছালে লাইনচ্যূত হয়। ফলে খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে যশোর ও খুলনা স্টেশনে অনেকগুলো ট্রেন আটকা পড়ে।
শায়লা/দীপ্ত নিউজ