পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল–৫ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের আয় গত পাঁচ বছরে বেড়েছে ৩৭ গুণ। বাৎসরিক আয় এক কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৫৮ টাকা আর নগদ অর্থ ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৬০৩ টাকা।
স্ত্রীর নামে আছে ২ কোটি টাকার উপরে। একাদশ নির্বাচনে হলফনামায় ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের কৃষি জমির তথ্য দিলেও দ্বাদশ ৫বছর ব্যবধানে এবারের নির্বাচনের হলফনামায় বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার এবং রাজধানীর বারিধারায় এক কোটি এক লাখ ১৯ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের নাল এবং ভিটাবাড়ি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে দেয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাহিদ ফারুক একাদশ সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় স্ত্রীর নামে কোনো সম্পদ উল্লেখ করেননি। কিন্তু দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্ত্রীর নামে দুই কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৫ টাকা থাকার তথ্য দিয়েছেন।
এর মধ্যে নগদ ৯২ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৫, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৫৬ লাখ, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৭০ লাখ, ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৫০ হাজার টাকার সোনার গয়না রয়েছে।
বর্তমানে জাহিদ ফারুকের কোনো ঋণ নেই। পাঁচ বছর আগের ৪ লাখ ৫১ হাজার ৮০২ টাকার স্থলে এবার তার আয় দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৫৮ টাকা। এর মধ্যে পেনশন ও সংসদ সদস্যের ভাতা ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৬ টাকা এবং ব্যাংক সুদ, ফ্ল্যাট বিক্রয় ও অন্যান্য ১ কোটি ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৯০২ টাকা। বর্তমানে তার নগদ টাকার পরিমাণ ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৬০৩ টাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকা ১ কোটি ৯ লাখ, শেয়ার–বন্ড–ঋণপত্রে ১১ লাখ ২৫ হাজার এবং গাড়ির মূল্য ২৬ লাখ ৮৯ হাজার ৪৫০ টাকা।
জাহিদ ফারুক একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় স্ত্রীর নামে ৩০ ভরি সোনার গয়নার তথ্য দেন। কিন্তু দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় স্ত্রীর মাত্র ১০ তোলা সোনার গয়নার কথা উল্লেখ করেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছিলেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ৮০২ টাকা। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় বাৎসরিক আয় উল্লেখ করেন এক কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৫৮ টাকা।
আরও পড়ুন: মাশরাফির আয় কমে অর্ধেক, গড়েননি নতুন সম্পদ
তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় নগদ অর্থ ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৯২৫ দেখালেও দ্বাদশের হলফনামায় দেখিয়েছেন ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৬০৩ টাকা।
একাদশ সংসদের হলফনামায় জাহিদ ফারুক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো জমার তথ্য উল্লেখ না করলেও দ্বাদশের হলফনামায় জমা হিসেবে দেখিয়েছেন এক কোটি ৯ লাখ। একইভাবে একাদশে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির কোনো শেয়ারের তথ্য উল্লেখ না করলেও দ্বাদশে এ খাতে ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ