ঈদুল ফিতর, পহেলা বৈশাখ ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে দীর্ঘ ৫ দিনের ৫ দিনের ছুটির কবলে পড়েছে দেশের বৃহত্তম বেনাপোল স্থলবন্দর। এ সময় স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি–রপ্তানিসহ কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বাংলাদেশ–ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা জানান, মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকাল থেকে বেনাপোল–পেট্রাপোলের মধ্যে আমদানি–রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে পুনরায় বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম যথারীতি চলবে।
এদিকে ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, ছুটির কারণে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি–রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ–ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। এ সময় একটু বেশি ভিড় হয়ে থাকে। সে কারণে ইমিগ্রেশনে কর্মরত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
দু’দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটি– ১০, ১১, ১২ এপ্রিল, শনিবার (১৩ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটি, রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের ছুটি থাকবে। সে কারণে সব মিলিয়ে ৫ দিন ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে বেনাপোল স্থলবন্দর।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ৯০ ভাগই আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। মাত্র ৭ দিনের এলসিতে পণ্য আনা যায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। দীর্ঘ ৫ দিনের ছুটির কারণে স্থবির হয়ে পড়বে বেনাপোল–পেট্রাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম। এতে করে সীমান্তের দুপাশে পণ্যবাহী ট্রাকজট বাড়বে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে রাতে বন্দর এলাকায় টহল দিবে। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানা কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি বলা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত জানান, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দর এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশেষ নজরদারি কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
জুবায়ের আহমেদ/এমবিআর