কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চললেও শাহজালাল বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের জন্য ‘লোকবল’ নিয়োগে ধীরগতির অভিযোগ বিশ্লেষকদের। কাঙ্খিত সেবা দিতে দক্ষ ও মানবিক কর্মীর ওপর জোর দেন বিশ্লেষকরা। সরকার বলছে, তৃতীয় টার্মিনালের পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হবে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে।
দেশের প্রধান বিমানবন্দর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় গেলে চোখে পড়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ। দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তনজুড়ে গড়ে উঠছে তৃতীয় টার্মিনাল।
জাপানের সহায়তায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা খরচে নির্মিতব্য বিশ্বমানের এই টার্মিনাল ঘিরে উন্নত সেবা দিতে চায় বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। শাহজালালের আগের দুটি টার্মিনাল দিয়ে বছরে ৮০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেয়া সম্ভব হয়। নতুন এই টার্মিনাল চালু হলে, বছরে ২ কোটি যাত্রী পাবে এই বিমানবন্দর সুবিধা।
নতুন এই টার্মিনালে ১১৫টি চেক ইন কাউন্টার, ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, ৬৪টি বহির্গমন ও ৬৪টি আগমনী ইমিগ্রেশন কাউন্টার এবং ১৬টি কনভেয়ার বেল্ট থাকবে। একসাথে পার্ক করা যাবে ৩৭টি উড়োজাহাজ। তৃতীয় টার্মিনালে ১ হাজারের বেশি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। তবে এজন্য ‘মানবিক’ লোকবল নিয়োগের ওপর জোর দেন, বিশ্লেষকেরা।
বৃহস্পতিবার তৃতীয় টার্মিনালের পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পিপিপির ভিত্তিতে করতে নীতিগত অনুমোদন দেয়, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এরইমধ্যে তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষ হয়েছে শতকরা ৫১ ভাগ। চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগে প্রথম ধাপের কাজ শেষে এটি চালু করতে চায় সরকার।