ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নে চরডুব্বা গ্রামে মা’সহ দুই শিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামী নুরুল আলম সোহেলকে (৩৪) তিন মাসেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহত মনির মা জাহানারা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সোহেল আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে পালিয়ে রয়েছে। পুলিশ চাইলে সহজে তাকে ধরতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। কি কারণে তার মেয়েসহ দুই নাতিকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি এখনও অস্পষ্ট রয়ে গেছে।
গত ৫ জুন সকালে স্বামী সোহেলের গৃহে রক্তাক্ত অবস্থায় পেটে ছুরি ঢুকানো অবস্থায় ঝুলন্ত হাজেরা খাতুন মনির (২৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে খাটে শোয়া অবস্থায় ছেলে ইমরান হোসেন ইয়ামিনের (৬) মরদেহ পাওয়া যায় ও আহতাবস্থায় উদ্ধারকৃত ১৩ মাস বয়সী অপর শিশু সন্তান ইরফান হোসেন আরাফাত চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে মারা যায়। ঘটনার পরদিন ৬ জুন রাতে রাতে নিহত হাজেরা খাতুন মনির মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও একজনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ফেনী ও কুমিল্লার সিআইডি ও পিবিআইয়ের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে আলামত সংগ্রহ করেছিলো।
মামলার বাদি মনির মা জাহানারা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নিলে হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারণ জানা যেত। কিন্তু পুলিশ অদৃশ্য কারণে এ ব্যাপারে তৎপরতা দেখায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম জানান, সোহেলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
স্থানীয়রা জানান, সোহেল মাদকাসক্ত। সে প্রায় সময় মাদক সেবন করে ঘরে এসে তার স্ত্রীকে নির্যাতন করত।
নিহত গৃহবধুর পরিবার সূত্র জানায়, তার পৈত্রিক বাড়ি মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের নুর বক্স ব্যাপারি বাড়ি। তার পিতার নাম ছেরাজুল হক। ২০১৫ সালে সোহেলের সাথে মনির বিয়ে হয়।
তবে সোহেলের মা কমলা বেগম দাবি করেন, স্বামী–স্ত্রীর কলহের জেরে মণি নিজেই এ কান্ড করেছে।
আবদুল্লাহ আল–মামুন/পূর্ণিমা/দীপ্ত নিউজ