সামছুল আলম ও সহিম উদ্দিন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়নের দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা। পাশাপাশি গ্রামে বসবাস হলেও দুজনের দেখা হয়না বেশ কয়েক মাস। তবে আজ দেখা হয়েছে, হয়েছে কোলাকুলি। দুজন তাদের আলাপ চারিতায় খোঁজ নিয়েছেন তাদের পরিবারের। স্মৃতিচারন করেছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের।
আর এই সুযোগ করে দিয়েছেন মানিকগঞ্জের আফরোজা আক্তার স্মৃতি পাঠাগার নামের একটি সামজিক সংগঠন। সংগঠনটি বিজয় দিবস উপলক্ষে ধামশ্বর ইউনিয়নের ৩৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানা প্রদান করেছেন। এ সময় সম্মাননা অনুষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় উৎসবে পরিনত হয়।
শনিবার ( ২১ ডিসেম্বর) বিকেলে কাকনা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, পাঠকদের বক্তৃতা,আবৃত্তি পাঠ, আলোচনা সভা, মুক্তিযুদ্ধের যাদুঘর হতে বইপাঠ কর্মসূচির সার্টিফিকেট হস্তান্তর, প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আফরোজা আক্তার স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি মো.রবিউল আলম সুজনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জজ কোর্টের পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।
সম্মাননা পেয়ে নিরালী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন পর একই ইউনিয়ের ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধার সাথে দেখা হলো। সংগঠনটি আমাদেন সম্মান দিলো। বিজয় দিবসে আজ বিজয় উৎসবের আমেজ পেলাম।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: রহমান বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের শেষ সময়ে রয়েছি। অনেক সহকর্মী মুক্তিযোদ্ধারা মৃত্যু বরন করেছেন। জীবনের শেষে এসে এমন সম্মান ও সংবর্ধনা পেয়ে ৭১ এর বিজয়ের মতো লাগছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারন করে বলেন, তরুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা আজ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিলো তা সবার জন্য অনুকরণীয় হওয়া উচিত। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্ষায় সবাইকে একসাথে কাজ করায় আহবান তিনি।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে পায়ে জুতা নিয়ে শহীদ মিনারে শিক্ষকরা
জাহিদুল চন্দন / আল/ দীপ্ত সংবাদ