রাজধানী ঢাকা হাইকোর্ট মাজারের পাশ থেকে ড্রামের ভেতর পাওয়া ২৬ টুকরো মরদেহের সেই আশরাফুল হকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া আল মাহফুজ মাদরাসা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে, শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৩টায় অ্যাম্বুলেন্সে আশরাফুল হকের খণ্ডিত মরদেহ বাড়িতে পৌঁছায়।
সকালে জানাজায় অংশ নিতে দূরদূরান্ত থেকে মুসল্লিরা ছুটে আসেন। মায়ের আহাজারি, স্বজনদের কান্না আর বিহ্বল মানুষের দীর্ঘশ্বাসে ভারী হয়ে ওঠে শেষ বিদায়ের মুহূর্ত।
এ ঘটনায় নিহত আশরাফুলের বোন আনজিনা বেগম শুক্রবার সকালে রাজধানী শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আশরাফুলের বন্ধু জরেজুল ইসলাম জরেজ‘কে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
আহাজারি করতে করতে আশরাফুল হক স্ত্রী লাকী বেগম বলেন, ‘নিজের ভাই মনে করত জরেজকে। জাপান যাওয়ার ১০ লাখ টাকা চাইছিল, সেই টাকাও আমরা দিতে চাইছি। আরও টাকা লাগলে নিত। আমার সব সম্পত্তি নিয়া স্বামীটারে বাঁচাই রাখত। স্বামীটার জান কেন কাড়ি নিল। আমি উনার (জরেজে) ফাঁসি চাই। যারা আমার স্বামীরে টুকরা টুকরা করছে, সবার ফাঁসি চাই।’
বাবা আবদুর রশিদের বিলাপ, ‘হাসপাতালে ছিলাম। জরেজ খুব তাগদা দিয়া ছেলেটারে ঢাকা নিয়া গেছে। বাবাটাক খুন করবে জানলে নিজের জান দিয়াও ঢাকা যাবার দিতাম না। ছোট নাতি–নাতনি, আমাদের এখন কে দেখবে।’
বদরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, সকালে আশরাফুল হকের লাশ তাঁর নিজ গ্রামে দাফন হয়েছে। তাঁকে হত্যার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে।
উলেখ্য, গত ১১ নভেম্বর মালয়েশিয়া–ফেরত বন্ধু জরেজুল ইসলামের সঙ্গে ঢাকায় যান আশরাফুল। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী হাইকোর্ট–সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের পাশে একটি ড্রাম থেকে এক তার খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এসএ