প্রকৃত ভালবাসা যে কখনোই হারিয়ে যায় না। প্রেম মানে না বয়স, ধর্ম, গোত্র কিংবা দূরত্ব। শত বাঁধা পেরিয়ে সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে আসে ভালোবাসার মানুষের কাছে আবারো তা প্রমাণ করলেন বরগুনার এক সাংবাদিক এবং ডেনমার্কের এক নারী। ভালোবেসে বিয়ে, তারপর দুই যুগের অপেক্ষা! দীর্ঘ ২৪ বছর পর বরগুনায় প্রাক্তন স্বামীর কাছে ফিরেছেন ড্যানসি নারী।
এযেন সিনেমাকেও হার মানিয়েছেন বরগুনার মান্নু ও ড্যানসি নারী মারিয়া বসির ভালোবাসা। প্রবাস জীবনে থাকা অবস্থায় ভালবেসে ১৯৯৭ সালে ডেনমার্কের বাসিন্দা রোমানা মারিয়া বসিকে বিয়ে করেন বরগুনার মাহবুবুল আলম মান্নু। এরপর তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। ২০০০ সালে ফের ডেনমার্কে চলে যান মারিয়া। এরপর মান্নুর ডেনমার্ক যাওয়ার কথা থাকলেও আর যেতে পারেননি। জড়িয়ে পড়েন সাংবাদিকতায়। পাশাপাশি প্রিয়তমার প্রতীক্ষায় একে একে যৌবনের ২৪ টি বছর কাটিয়ে দেন নিঃসঙ্গতায়।
দীর্ঘদিনের দূরত্বের কারণে বাবার চাপে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন রোমানা মারিয়া বসি। পরে সেই বিয়ে বিচ্ছেদ হলে তিনিও খুঁজতে থাকেন প্রাক্তন স্বামী মান্নুকে। ফেসবুকের কল্যাণে গত ৩ মাস আগে মান্নুকে পেয়ে গেলে পুরনো প্রেম আবার উথলে ওঠে মান্নু ও রোমানার। এরপর মান্নুকে আবারও বিয়ে করতে বৃহস্পতিবার বরগুনা আসেন রোমানা। বিমানবন্দরে রোমানাকে স্বাগতম জানান মান্নু নিজেই।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বরগুনায় মান্নুর বাসায় আবারো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন প্রাক্তন এই দম্পতি। এসময় মেয়ে পক্ষের হয়ে বিয়ে সম্পাদন করেন বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি সোহেল হাফিজ এবং সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মোঃ সালেহ। এতে খুশি স্থানীয় অধিবাসী ও স্বজনেরা।
মাহবুবুল আলম মান্নু দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও বরগুনা জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন আর রোমানা মারিয়া বসি কর্মরত আছেন ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনের একটি সিটি কর্পোরেশন।
শাহ্/আল