আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে রাজধানীতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ২৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা থেকে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময়ে ৫৮৬টি টহল টিম ও ৬৫টি চেকপোস্ট পরিচালনা করেছে ডিএমপি। মামলা দায়ের করা হয়েছে ৪৪টি।
শনিবার (১ মার্চ) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ–কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ২৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছে– ৮ ডাকাত, ২৬ পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, ৬ চাঁদাবাজ, ২০ চোর, ১৬ চিহ্নিত মাদক কারবারি, ৩১ পরোয়ানাভূক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত অপরাধী।
অভিযানে ৩০০ রাউন্ড গুলি ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত তিনটি চাকু, তিনটি সুইচ গিয়ার, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অভিযানে উদ্ধার করা মাদকের মধ্যে রয়েছে– ১০ লিটার দেশী মদ, ১২১ পিস ইয়াবা, এক কেজি ২৫০ গ্রাম গাঁজা ও ১২.৫ গ্রাম হেরোইন।
মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আরও বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৪৪টি মামলা রুজু করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪ ঘন্টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে ডিএমপির ৫৮৬টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি কর্তৃক ৬৫টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। জননিরাপত্তা ও আইন–শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির টহল টিমের পাশাপাশি মহানগরীর বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে সিটিটিসির ১৪টি, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) ১২টি এবং ডিএমপির সঙ্গে র্যাবের ১০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এছাড়াও ডিএমপির সঙ্গে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এপিবিএন কর্তৃক ২০টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
ইএ