নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আগামী ২৪ এপ্রিল শপথ নেবেন। তিনি দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
বঙ্গভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৩ এপ্রিল।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। পরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
স্বাধীনতার পর থেকে ২১ মেয়াদে এ পর্যন্ত ১৭ জন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের আইনে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে এ দায়িত্বে থাকতে পারেন।
মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাঙ্ক পাড়ায় (শিবরামপুর) জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম চুপপু। বাবা শরফুদ্দিন আনছারী ও মা খায়রুন্নেসা। তিনি পাবনা শহরের পূর্বতন গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর রাধানগর মজুমদার একাডেমিতে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাসের পর ভর্তি হন পাবনার ঐতিহ্যবাহী এডওয়ার্ড কলেজে। সেখানেই রাজনীতির হাতেখড়ি। তার আগেই অবশ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে পাবনায় দেখা হয় সাহাবুদ্দিনের। ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর এডওয়ার্ড কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক, অবিভক্ত পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি থেকে ছয় বছর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৬৮ সালে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে (১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত) বিএসসি পাস করেন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেন সাহাবুদ্দিন। এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ছাত্রলীগের সক্রিয় কাজের ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। কারামুক্তির পর পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ