ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০৪ কিলোমিটার বেগে অতিক্রম করতে পারে। শুক্রবার (১২ মে) সকালে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরেক পোস্টে তিনি বলেছেন, মোখার কারণে বাংলাদেশের সব উপকূলীয় এলাকা ১০ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের হুমকির সম্মুখীন। ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে আঘাত করলেও পুরো বাংলাদেশের সব উপকূলীয় জেলা ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের সম্মুখীন হবে। ঘূর্ণিঝড়টির যাত্রাপথ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান ও আকৃতির কারণে এ জলোচ্ছ্বাস হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, মোখা যখন সেন্টমার্টিন দ্বীপ অতিক্রম করবে তখন দ্বীপের প্রতি ইঞ্চি মাটি সমুদ্রের পানির নিচে থাকার আশঙ্কা ৯০ শতাংশেরও বেশি।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে (১১ মে) দেয়া আবহাওয়া দফতরের সবশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, বাংলাদেশ উপকূলের আরও কাছে চলে এসেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। এটি আরও শক্তিশালী হয়ে বঙ্গোপসাগরের উত্তর ও উত্তর–পূর্বদিকে অগ্রসর হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা দুভাগে ভাগ হয়ে একটি অংশ কক্সবাজার দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ মিয়ানমারের ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে। কক্সবাজার, বরগুনা, নোয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আগামী রবিবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে মোখা বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ