আগামী ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থ বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ছয় দুই শতাংশ বেশি।
অর্থনীতিবিদদের মত, উচ্চাভিলাষী বাজেট না দিয়ে, সরকারের উচিত বাজেটের ঘাটতি কমানো। আসন্ন বাজেটে ব্যয় নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ তাদের। চড়া মূল্যস্ফীতি আর ডলার সংকট নিরসনে, চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে আসছে নতুন বাজেট। ২০২৪–২৫ অর্থ বছরের বাজেট কতোটা জনবান্ধব, সেদিকেই নজর সবার।
আগামী অর্থবছরে বাজেটের সম্ভাব্য আকার হতে পারে, ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে আকার বাড়ছে, ৩৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা আর ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদেশি সহায়তা আর ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। বাকিটা অভ্যন্তরীণ ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পূরণ করবে সরকার।
চলমান অর্থনৈতিক নেতিবাচকতার মধ্যে অযৌক্তিক রাজস্ব ও প্রবৃদ্ধি লক্ষমাত্রা দিয়ে চাপ না বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এ বছরের বাজেটে সরকারকে ব্যয়ে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি না পেলে, ব্যয়ের ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকখাত থেকে বড় ঋণ নিতে হবে। যা মূল্যস্ফীতিকে আরও উস্কে দেবে।
আসন্ন বাজেটে আইএমএফের শর্তের প্রতিফলন থাকবে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।
২০২৪–২৫ অর্থবছর
সম্ভাব্য বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা
প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ
২০২৪–২৫ অর্থবছর
মোট ব্যয় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা
মোট রাজস্ব আয় ৫ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা
ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা
আল / দীপ্ত সংবাদ