গণতান্ত্রিক দেশে ভোট অনেকটা উৎসবের মতো। নেতা নির্বাচিত করতে সবাই মুখিয়ে থাকে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার জন্য। তবে দুর্গম অনেক অঞ্চল আছে যেখানে খুব কাছাকছি ভোটকেন্দ্র নেই। তাই অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন ভোট দিতে।
তবে একটা ভোটারও যেন তার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে। এক পরিবারের ভোটারদের জন্যই গোটা একটি ভোটকেন্দ্র বসিয়ে দেয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সেখানে ভোটার সংখ্যা মাত্র ৩৫ জন। যেখানে ১৯ জন পুরুষ ভোটার আর ১৬ জন নারী ভোটার।
এই ঘটনা ভারত–পাকিস্তান সীমান্তবর্তী রাজস্থান রাজ্যের ছোট্ট একটি গ্রামের। এত দিন তাদের ভোট দিতে পাড়ি দিতে হতো অন্তত ২০ কিলোমিটার পথ। তাও যেতে হতো হেঁটে অথবা উটে চড়ে। তাই অনেকে কেন্দ্রেই যেতেন না। ফলে তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হত। খবর এনডিটিভির।
ভারতের পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন চলছে। গত ৭ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে ছত্তিশগড় ও মিজোরামে। আর রাজস্থানে ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ নভেম্বর। এই ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে ভারতের নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন এলাকায় ভোটকেন্দ্র স্থাপনের কাজ করে যাচ্ছে। এমনই একটি কেন্দ্র বারমার জেলার গ্রাম বারমার কা পার।
জাতীয় কিংবা বিধানসভা নির্বাচনের সময় এলে এই গ্রামের বাসিন্দাদের ব্যাপক হ্যাপা পোহাতে হয়। কারণ গ্রামের জনসংখ্যা কম হওয়ায় এখানে কোনো ভোটকেন্দ্র নেই। কিন্তু ভোট দিতে চাইলে সেই যেতে হবে অন্তত ২০ কিলোমিটার দূরের ভোটকেন্দ্রে। কিন্তু যোগাযোগব্যবস্থা সহজ না হওয়ায় গ্রামটির বাসিন্দাদের হয় পায়ে হেঁটে আর না হয় উটে চড়ে যেতে হয় সেই ভোটকেন্দ্রে, যা পুরুষদের জন্য কিছুটা সহজ হলেও নারী ও বয়স্কদের জন্য খুবই কষ্টকর। তাই তাদের জন্য স্থাপন করা হয়েছে এভাবে ভোট দেয়ার সুবিধা।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ