২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাতে ২৪টি বড় অনিয়ম হয়েছে। এর মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে সব ঘটনায় ৯২২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন টাকা বা ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা।
এমনই তথ্য দিল সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ– সিপিডি।
ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার কারণে, ব্যাংকগুলো দিন দিন দুর্বল হচ্ছে। চার বছরে কিছু নিত্যপণ্যের দাম চারশ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানায় এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
বৈশ্বিক অর্থনীতির ধীরগতি ও মূল্যস্ফীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। দেড় বছর ধরে রাজস্ব আহরণে নিম্নমুখী প্রবণতা, তারল্য সংকট, রিজার্ভ কমে যাওয়া ও মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে দেশ। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের নীতিগত অবস্থানও অর্থনীতিতে সংকট সৃষ্টি করছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে “বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩–২৪ চলমান সংকট ও করণীয়” শিরোনামে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা উঠে আসে।
এতে দেশের ব্যাংক খাত, সরকারি অর্থায়ন, ঋণ স্থিতিশীলতা ও শ্রম অধিকারসহ অর্থনীতির বিভিন্ন অনুষঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ঋণ, অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে ঋণ, অর্থ লোপাটসহ নানান ধরনের আর্থিক অনিয়ম হয়েছে।
সিপিডি বলছে, মুলধন সরবরাহের ক্ষেত্রে সরকারি ব্যাংক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। খেলাপি ঋণ ১০ বছরে সাড়ে চার গুণের বেশি বেড়েছে।
বেসরকারি এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান মনে করে, বাজেট ঘাটতি পূরণে রাজস্ব আদায় বাড়াতে না পারলে, ভবিষ্যতে অর্থনীতি আরও চাপে পড়বে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ