ধানমন্ডি ৩২ এ শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর করে। প্রথমে আগুন লাগিয়ে এরপর তা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এটাকে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের হত্যা, গুম, নির্যাতনের রাজনীতির নির্মম পরিণতি হিসেবেই দেখছেন দলটির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টে সোহেল তাজ লিখেন, ‘কী নির্মম পরিণতি—১৫ বছরের হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস, ভোট অধিকার হরণ, দুর্নীতি, লুটপাট, লাখ লাখ কোটি টাকা অর্থ পাচার এবং জুলাই–আগস্ট গণহত্যা করে আত্ম উপলব্ধি, আত্মসমালোচনা, অনুশোচনা না করে, ক্ষমা না চেয়ে আবার বিদেশে বসে এখন আন্দোলনের ডাক দিলে আর কী পরিণতি হতে পারে?’
পোস্টটি কাদের উদ্দেশ্যে করেছেন, তা জানিয়ে তিনি লিখেন, ‘গণহত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন/নিপীড়নকারী, দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র হত্যাকারী চোর/মাফিয়াদের সমর্থনকারী ব্রেন ওয়াসড নব্য কাওয়া বডিলীগের চামচাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘নীতি আদর্শ বিচ্যুত খারাপ মানুষের প্রশংসা আমার প্রয়োজন নেই– আমি আপনাদের চিনি।’
সোহেল তাজ তার ফেসবুক অনুসারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ব্রেন ওয়াশড নষ্ট পচা নীতি/আদর্শ বিচ্যুত লুটেরা খুনি হত্যা গুম নির্যাতনকারীদের সমর্থকদের বলবো, অনতিবিলম্বে আমার এই ফেসবুক পেইজটি আনফলো করুন।’
সোহেল তাজ বলেন, ‘নিজের বিবেককে জাগিয়ে আত্মোপলব্ধি ও আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করুন।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। ব্যক্তিগতভাবেও তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। তবে সে পদে বেশিদিন ছিলেন না তিনি। এরপরই তিনি রাজনীতি থেকে সরে যান তাজ।
এসএ