২০২৫–২৬ কর বছরের জন্য অনলাইনে ই–রিটার্ন দাখিল কার্যক্রম গত ৪ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রথম ১০ দিনে ৯৬ হাজার ৯৪৫ জন করদাতা ই–রিটার্ন জমা দিয়েছেন।
গত অর্থবছরের তুলনায় এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে প্রথম ১০ দিনে মাত্র ২০ হাজার ৫২৩ জন করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছিলেন। চলতি বছরের গড় দৈনিক ই–রিটার্ন জমা প্রায় গত বছরের গড়ের পাঁচ গুণ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ৩ আগস্ট বিশেষ আদেশে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণ, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা এবং মৃত করদাতার আইনগত প্রতিনিধি ব্যতীত সব ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে। পরবর্তীতে ১১ আগস্ট বিশেষ আদেশে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের এই বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
যারা ই–রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন সংক্রান্ত সমস্যার কারণে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারছেন না, তারা ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে আবেদন করে পেপার রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
করদাতারা ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ অথবা অন্য যেকোনো মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে ঘরে বসেই রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। পাশাপাশি তারা তাৎক্ষণিকভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই–রিটার্ন প্রাপ্তিস্বীকার পত্র এবং আয়কর সনদ প্রিন্ট করতে পারবেন।
এনবিআর করদাতাদের সহায়তার জন্য কল সেন্টার স্থাপন করেছে। কল সেন্টারের নম্বর: ০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১। এছাড়া www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইটের eTax Service অপশন থেকে লিখিতভাবে সমাধান পাওয়া যাবে।
করদাতাদের সচেতন নাগরিক হিসেবে যথাসময়ে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার আহ্বানও জানিয়েছে এনবিআর।