রাজধানীর পল্টনে এক রিকশাচালককে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদেরকে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় এ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর এ তিন নেতাকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
গত ১৯ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর পল্টন থানা এলাকায় গুলিতে নিহত হন রিকশাচালক কামাল মিয়া (৩৯)। এ ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের আসামি করে ২০ জুলাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৩৬)।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, আমার স্বামী কামাল মিয়া (৩৯) পেশায় একজন রিকশাচালক। গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারি, আমার স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় পল্টন মডেল থানার বটতলা গলির মুখে পড়ে আছে। তখন আমি ও আমার মেয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার বাদী এজাহারে আরও বলেন, ঘটনাস্থলের স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ওই স্থানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা রাস্তা অবরোধ করে আগুন দেয় এবং বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। তখন কাকরাইল থেকে পল্টন থানায় আসার পথে একজন পুলিশকে দুষ্কৃতিকারীরা আটক করে মারধর করে।
তার কাছে থাকা সরকারি পিস্তল ও গুলি, ওয়ারলেস সেট, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ নিয়ে যায় এবং তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। তখন পল্টন থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া করে। এসময় দুষ্কৃতকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশওপাল্টা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পুলিশ ও দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া পাল্ট ধাওয়ার মাঝে পড়ে যান রিকশাচালক কামাল মিয়া। একপর্যায়ে দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে আহত হন কামাল মিয়া।