গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়ে মমতাজ বেগম (৫৩) নামে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১২ মে) বিকেলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিঠিটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও গণপূর্ত ই/এম বিভাগ–১০, ঢাকার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হালিম।
রবিবার রাত ১১টার দিকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
চিঠিতে বলা হয়েছে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রবিবার এম/এস রোসন এলিভেটরসের সরবরাহকৃত মভি ব্র্যান্ডের একটি লিফট আনুমানিক বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ৯ম ও ১০ তলার মাঝামাঝি রোগী ও রোগীর দর্শনার্থীরা হঠাৎ আটকে যায়।
প্রাথামিক ধারণা অনুযায়ী, লিফটটি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ৯ম ও ১০ তলার মাঝখানে আটকে গেলে এর এআরডি (স্বয়ংক্রিয় রেসকিউ ডিভাইস) কাজ করার জন্য এক মিনিট সময় লাগে। কিন্তু লিফটে আটকে পড়া রোগীসহ লোকজন দরজা ধাক্কাধাক্কি করায় লিফটের ডোর সেফটি কাজ করেনি।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তীতে লিফট অপারেটর লিফট মেশিন রুমে হাত দিয়ে ম্যানুয়ালি লিফটটি একটি ফ্লোরে আনার আগেই রোগীসহ লোকজন দরজা খুলে বের হয়ে আসেন। এসব কাজ সম্পন্ন হতে ১০–১৫ মিনিট অতিবাহিত হয়।
চিঠিতে রোগীর অসুস্থতার বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘হার্টের রোগী ছিলেন। তৎক্ষণাৎ রোগীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন
লিফটে কোনো ত্রুটি ছিল না উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘লিফটটি নিয়মিত সার্ভিস ও মেইনটেন্যান্স করা হয় এবং বর্তমানে লিফটটি চালু আছে। আটকে পড়া রোগীসহ অন্যরা লোকজন দরজা ধাক্কাধাক্কি করায় লিফটটির সমস্যা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
এ ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার (১২ মে) সকাল ১১ টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩নং লিফটে আটকা পড়ে মমতাজ বেগম (৫৩) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। মৃত মমতাজ বেগম (৫০) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিন বিএসসি’র স্ত্রী।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ