বেশ কিছুদিন ধরে রাজনীতির মাঠে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার।
রুমিন ফারহানাকে বিএনপির আওয়ামী বিষয়ক সম্পাদক বলে আখ্যা দিয়েছিলেন হাসনাত। তার বিপরীতে হাসনাকতকে এক ফেসবুক পোস্টে ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বলেছিলেন রুমিন ফারহানা। হাসনাতকে এই কটু বাক্য বলার ব্যাখ্যা দিয়েছেন রুমিন ফারহানা।
কটুবাক্য বলা ওই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ার পর এক বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে কটুবাক্য বলার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
রুমিন ফারহানা বলেন, তার ব্যবহৃত ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ শব্দগুচ্ছ আসলে কোনো ব্যক্তির আর্থিক অবস্থা নয়, বরং একটি মানসিকতা বা চিন্তাধারাকে নির্দেশ করে। তার ভাষায়, ফকিন্নির বাচ্চা ব্যাপারটা একটা মাইন্ডসেট। এর মানে এই নয় যে, কেউ গরিব, বরং চিন্তাভাবনায় নীচু মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব হুমায়রা নূর এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর মতো নেতারা রাজনৈতিক বক্তব্যে যে ভাষা ব্যবহার করছেন, তা নিম্নমানের এবং সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
রুমিনের মতে, তাদের ব্যবহৃত শব্দ চয়ন ‘স্লাম’ এলাকার কথাবার্তার মতো, যা রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অশোভন।
তিনি আরও দাবি করেন, ওরা যে ভাষায় স্লোগান দেয় বা প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে, সেটি বস্তির ভাষার সঙ্গে মিলে যায়। আমি যখন বলেছি ‘ফকিন্নির বাচ্চা’, তখন পোস্টে শেয়ার করা ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায় আমি কাকে ইঙ্গিত করেছি।
এর আগে গত রবিবার এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক বক্তব্যে রুমিন ফারহানাকে ‘বিএনপির আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক’ বলে মন্তব্য করেন। তার ওই বক্তব্যের জবাবে সোমবার (২৫ আগস্ট) রুমিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান। পোস্টে তিনি হাসনাতের ছাত্রলীগ-সংশ্লিষ্ট কিছু ছবি ও স্ক্রিনশটও প্রকাশ করেন।