পটুয়াখালীর দুমকিতে হালিমা আক্তার মীম (২০) নামের এক গৃহবধুর হাত, পাঁ ও মুখ বেধে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে মীমের শীরের ৮০ শতাংশ ও তার ছয় মাস বয়সী শিশু সন্তান ওয়ালিফের শরীরের আংশিক পুড়ে যায়।
শুক্রবার (৯ জুন) বিকালে উপজেলার নতুনবাজার সংলগ্ন শাহজাহান মুন্সির ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আগুন দেয়ার পর ঘরের দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে পালিয়ে গেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু ও তার শিশু শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুমকি সাতানী গ্রামের বাসিন্দা প্রিন্স ও মীম দম্পত্তি চলতি মাসের ২ জুন শাহজাহান দারোগার ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। বিকালে প্রতিবেশীরা তাদের ঘরে চিৎকার ও গোঙ্গানীর শব্দ শুনতে পায়। পরে তাদের ঘরের সামনে গিয়ে বাহির থেকে দরজার ছিটকানী বন্ধ পায়। ভেতরে ঢুকে অগ্নিদগ্ধ মীম ও তার শিশু সন্তাকে উদ্ধার করে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় রেফার করে। এসময়ময় স্বামী প্রিন্স বাসায় ছিলেননা।
দুমকি থানার ওসি আবুল বাসার জানান, এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
মো.ইমরানআফ/দীপ্ত নিউজ