স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইউনিভার্সাল এমিটির উদ্যোগে চিলমারী ও উলিপুর উপজেলায় গৃহহীন ৭ পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। কুড়িগ্রামের চিলমারী ও উলিপুর উপজেলায় সংগঠনটির সেফ সেল্টার প্রজেক্টের আওতায় ঘর হস্তান্তর করা হয়।
ঘরের চাবি হাতে পেয়ে উচ্ছশিত উপকারভোগী পরিবারগুলো। অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন চিলমারীর সরকার পাড়া দুদু মিয়া। এসময় তিনি জানান, অভাবি সংসারে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে ছিলাম। অল্প এহনা ছাপড়া ঘরত আইচলং। এহন ঘর পায়া খুব ভালো লাগতেছে। দোয়া করি সংগঠনের সবাইকে আল্লাহ নেক হায়াত দান করবেন।
উপকারবৈাগীরা হলেন চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ব্রাক মোড় এলাকার হালিমা বেগম। রমনা ইউনিয়নের সরকার পাড়ার মোঃ দুদু মিয়া ও উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের মিয়াজি পাড়ার সুরমা বেগম, খামার বজরা গ্রামের ফুল্টি বেগম, চাঁদনি বজরা এলাকার মোমেনা বেগম, কালপানি বজরার লাইজু বেগম ও তবকপুর ইউনিয়নের সাদুল্যা দওবন এলাকার নুর হোসেন।
এই প্রজেক্ট এর আওতায় এরইমধ্যে ৩৬ টি অসহায় পরিবার ৩৬ টি ঘর বিতরণ করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আরও ৫টি পরিবারের মাঝে ঘর দেয়ার কথা রয়েছে।
ইউনিভার্সাল এমিটি ২০১৫ সালে একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আত্মপ্রকাশের পর থেকে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, বিভিন্ন দূর্যোগকালীন সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছেন সংগটনটি। এরইমধ্যে সংগঠনটির পক্ষ্য থেকে ২৫টি প্রজেক্ট এর বাস্তবায়ন করেছেন।
প্রজেক্টগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রজেক্ট লাইফ লাইন এর আওতায় শতাধিক নলকূপ স্থাপন। এইড ফর এইনকাম প্রজেক্ট এর আওতায় অস্বচ্ছল ও বেকারদের জন্য দোকান, রিক্সা-ভ্যান, সেলাই মেশিন, গরু ও ছাগল বিতরণ।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদি হাসান জানান, সমাজের অসহায় মানুষের জন্য আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সেই সাথে তিনি সংগঠনের কল্যাণে সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
এইড ফর এডুকেশন এর আওতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষার্থীকে প্রতিমাসে শিক্ষা ভাতা প্রদান। উইন্টার প্রজেক্টের আওতায় প্রতি বছর দেশের উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গে শীত বস্ত্র বিতরণ। ফুইড এইড প্রজেক্ট এর আওতায় অসহায় পরিবারের মাঝে অর্ধেক মাসের বাজার বিতরণ।
রমজান উপহার প্রজেক্টের আওতায় মুসলিম অসহায় পরিবারের মাঝে পুরো মাসের সেহরি ও ইফতার বিতরণ সহ সমাজের অসহায় ও পিছিয়ে পরা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।