সকালে খাবার খেতে বসেছিল স্বামী স্ত্রী। সে সময় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রীর গায়ে হাত তুলে স্বামী বিল্লাল হোসেন। স্বামীর নির্যাতনে অভিমানে বিষপানে আত্মহত্যা করে গৃহবধূ তানিয়া খাতুন (১৯)।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯ টার দিকে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলা গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের পুলুম মধুখালী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সকালে বিষপানের পর স্বজন ও প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত তানিয়া খাতুন মাগুরা সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বালেপাড়া গ্রামের আখের আলী শেখের মেয়ে। তিন বছর আগে গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের পুলুম মধুখালী গ্রামের বাকু মোল্লার ছেলে বিলাল হোসেন মোল্লা সাথে তার বিয়ে হয়। এই দম্পতির ঘরে সাজিম নামে ১৩ মাস বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
নিহত তানিয়া খাতুন এর বাবা আখের আলী শেখ জানান, তিন বছর আগে বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে তানিয়ার বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর জামাইরা দরিদ্র হওয়ায় প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ করে তাদের বাড়িতে ঘরসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র কিনে দেওয়া হয়। এরপরও মেয়ে তানিয়াকে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন করত সে। এক মাস আগেও স্বামীর নির্যাতনের কারণে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর জামাই ও আমার স্ত্রীর অনুরোধে মেয়েকে পুনরায় শ্বশুরবাড়ি পাঠানো হলোও তারপর আবারও নির্যাতন শুরু হয়। পুনরায় মেয়ে আমার বাড়িতে আসলে সর্বশেষ গত তিন দিন আগে আবার স্বামীর বাড়িতে যাই। শুক্রবার(২৮ এপ্রিল) সকালে খাবার সময় তাকে মারধর করলে সে বিষপানে আত্মহত্যা কর।
মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানার পর একজন অফিসার কে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ