দিনাজপুর জেলার ঘাসিপাড়া শহরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ওয়ারড্রবে রেখে স্বামী ১৪ ঘণ্টা পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করেছেন। শুক্রুবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে স্ত্রীকে হত্যা করেন তিনি। সারাদিন পর রাত ১০টার দিকে কোতোয়ালী থানায় গিয়ে স্ত্রীকে খুনের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
ব্যক্তির মনোয়ার হোসেন (৩৩) এর ২য় স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে (২৭) হত্যার পর লাশ বাসার ওয়ারড্রবে রেখে থানায় যান।
দিনাজপুর কোতোয়ালী থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, মনোয়ারের সঙ্গে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুরের কলেজপাড়ার আব্দুল খালেকের মেয়ে সুমাইয়ার এক মাস আগে বিয়ে হয়। মনোয়ারের বাড়ি দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গোলায়। তিনি ঘাসিপাড়ায় ওই বাড়ির চতুর্থ তলায় এক বছর ধরে ভাড়া থাকতেন।
স্বামী মনোয়ারের দেয়া প্রাথমিক তথ্যের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, শুক্রবার ভোর ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে তাকে গলা টিপে হত্যার পর মরদেহ ওয়ারড্রবে লুকিয়ে রাখেন। প্রায় ১৪ ঘণ্টা স্ত্রীকে লুকিয়ে রাখার পর তিনি নিজে থানায় হাজির হয়ে এ হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার দেয়া তথ্যসহ তাকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মরদেহ রাত পৌনে ১১টায় উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এফএম/দীপ্ত