ঝালকাঠিতে স্ত্রী সায়মা পারভীনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর স্বামী জেলা ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি মো.আলী ইমাম খান অনু পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। সোমবার (১৫ মে) দুপুরের দিকে ঝালকাঠি শহরতলির ইকোপার্কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সায়মা পারভীন (২০) শহরের ফকির বাড়ি সড়কের শাহাদাৎ তালুকদারের মেয়ে এবং ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী।
মো. আলী ইমাম খান অনু (৩০) শহরের ফকির বাড়ি সড়কের মো. দিলদার হোসেন খান এর ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমের সম্পর্কের পরে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর আলী ইমাম খান অনু কলেজ ছাত্রী সায়মা পারভীনকে বিয়ে করে। বিয়ের বিষয়টি দুই পরিবার জানত না এবং উভয়ে আলাদা থাকত।
বিয়ের তিনমাস পর থেকে স্ত্রী সায়মা পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন। এ বিষয়ে স্বামী অনু একাধিক বার নিষেধ করা সত্বেও স্ত্রী সায়মা না শোনায় শুনেনি। অনু তার প্যান্টের পকেটে থাকা ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে স্ত্রীকে হত্যা করেন এবং তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে তার অপরাধের কথা জানান।
স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে অনু ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের কাছে আত্মসর্মপণ করে হত্যার দায় স্বীকার করেন।
খালিদ হাসান/এমি/দীপ্ত নিউজ