মানিকগঞ্জের সিংগাইরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের মামলায় শ্বশুর–শাশুড়ি ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ হত্যা মামলার প্রধান আসামী নিহত মুক্তা আক্তারের স্বামী রাজু বয়াতি পলাতক রয়েছেন। সোমবার (১৩ মার্চ) রাত পৌনে ১১ টার দিকে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– নিহত মুক্তা আক্তারের শ্বশুর মোঃ পলাশ মন্ডল (৬০), শ্বাশুড়ী আকলিমা খাতুন (৫০) ও দেবর বাদল মন্ডল (২১)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রাজু বয়াতির (৩০) সাথে ছয় বছর আগে মুক্তা আক্তারের (২২) বিয়ে হয়। এ দম্পতির ঘরে একটি সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই মুক্তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল। এক পর্যায়ে মানসিক নির্যাতন করলে স্বামীর বাড়ি থেকে গত (৮ মার্চ) মুক্তা বাবার বাড়ি চলে আসে। ঘটনার দিন রবিবার (১২ মার্চ) সকালে স্বামী রাজু তার পিতা মাতার পরামর্শে মুক্তার বাবার বাড়ি এসে আবারও যৌতুক দাবি করেন। দুপুরের দিকে মুক্তার মা রৌশন আরা বাড়ির বাইরে গেলে রাজু তার সহযোগি আসামিদের কু–পরামর্শে মুক্তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় মুক্তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহত মুক্তার মা রৌশন আরা রবিবার (১২ মার্চ) রাতে বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ প্রধান আসামির মা বাবা ও ভাইকে গ্রেপ্তার করে। পরে সোমবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মানিকগঞ্জের কোর্ট ইন্সপেক্টর মো.কাইয়ুম খান বলেন, এ মামলার গ্রেপ্তার তিন আসামীর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ