স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিজয় ক্যাম্পাসের জার্নালিজম,কমিউনিকেশন ও মিডিয়া স্টাডিজ (জেসিএমএস) বিভাগ এবং সিসিডি বাংলাদেশ যৌথভাবে, শিক্ষার্থীদের ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধি করতে ‘নলেজ শেয়ারিং সেশন অন ফ্যাক্ট চেকিং’ শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়োজন করে।
শনিবার (১০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
মিথ্যা, বানোয়াট কিংবা প্রতারণামূলক তথ্য প্রবাহকে পরিহার করে কীভাবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা যেতে পারে সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এবং সভাপতিত্ব করেন জার্নালিজম, কমিউনিকেশন ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মো. সামসুল ইসলাম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবীতে ফ্যাক্ট চেকিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে পরিণত হলেও বাংলাদেশের বাস্তবতায় ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়টির সচেতনতায় ঘাটতি রয়েছে। ফলশ্রুতিতে, দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে প্রতিদিন প্রচুর মিথ্যা সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে।‘
এক গবেষণার রেফারেন্স দিয়ে তিনি বলেন, গত বছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশে মূল ধারার গণমাধ্যমে অন্তত ২৭৭টি ভুয়া সংবাদ প্রচারিত হয়েছে।
ফ্যাক্ট চেকিংয়ের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র এ দুটোকে বাঁচাতে হলে ফ্যাক্ট চেকিংয়ের বিকল্প নেই। কাজেই মানুষকে সঠিক তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করতে হলে তথ্য হতে হবে বস্তুনিষ্ঠ। কোন তথ্য পেলে তা বিশ্বাস না করে বরং তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন তুলতে হবে এবং সঠিক তথ্য মানুষকে জানাতে হবে।
দিনব্যাপী এই কর্মশালায়, সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের পটভূমি ও বাস্তবতা, তথ্যের প্রকার, নৈতিকতা, ফ্যাক্ট চেকিং টুলের প্রবর্তন, ভুয়া সংবাদ শনাক্তকরণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও ছবি এবং ভিডিও যাচাইকরণ প্রযুক্তি, গুগল এডভান্সড সার্চ এবং ভূ–অবস্থান যাচাই করার মতো জটিল বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
কর্মশালার প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন, বিভাগের সহকারি অধ্যাপক নাসরিন আক্তার ও প্রভাষক মো. ইমরুল বাশার। দুই পর্বের এই কর্মশালায় সর্বমোট ২০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এমি/দীপ্ত নিউজ