ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়োজিত স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ডস বাংলাদেশের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যবসায়িক, উদ্যোক্তা ও সামাজিক খাতে উল্লেখযোগ্য অর্জনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদারে অবদান রাখায় তাদের এই স্বীকৃতি দেয়া হয়।
‘সায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড’, ‘সোশ্যাল অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘বিজনেস অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’– এ তিন বিভাগে বিজয়ীরা হলেন– লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও কিংস কলেজ লন্ডনের স্নাতক ডা. কামরুন কলি, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্নাতক মোহাম্মদ তাকি ইয়াসির এবং ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের স্নাতক অধ্যাপক খোন্দকার এ মামুন।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন– বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর বাংলাদেশ টম মিশসা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। স্মার্ট সিটিজেন গড়তে সবার জন্য সঠিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা ছাড়া কোনও উদ্ভাবন বাস্তবে রূপ দেয়া সম্ভব নয়। সবার জন্য উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত করার এই প্রয়াসে আমাদেরকে নিরলস সহায়তা করার জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল ও যুক্তরাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল বলেন, এ বছরের পুরস্কারের জন্য মনোনীত ও সংক্ষিপ্ত তালিকায় যারা স্থান করে নিয়েছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন। স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ডসের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অর্জন উদযাপন করা হয়। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চমৎকার অংশীদারত্ব রয়েছে এবং এ অংশীদারত্ব আমাদের ডায়াস্পরা, সাংস্কৃতিক, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তিতেই তৈরি। বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন ২০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন এবং তারাই এ দৃঢ় সম্পর্ক এবং যুক্তরাজ্যের ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সংযোগের প্রমাণ।’