স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, আমাদের স্কুল ফিডিং–এ দুধ দেওয়া হচ্ছে সেখানে ডিমও যুক্ত করতে হবে। কেননা দেশের অনেক দারিদ্র্য শিশু প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। সেক্ষেত্রে স্কুলের খাবার তালিকায় ডিম যুক্ত করা হলে শিক্ষার্থীদের অপুষ্টি দূরীকরণে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে রাজধানী ফার্মগেট, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘বিশ্ব ডিম দিবস‘ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল ও ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখা।
উপদেষ্টা বলেন, ডিম এমন এক খাদ্য, যার সঙ্গে দেশের প্রায় সব শ্রেণির মানুষ কোনো না কোনোভাবে যুক্ত। গরুর মাংস অনেকের নাগালের বাইরে হলেও ডিম এমন একটি সাশ্রয়ী খাদ্য, যা সবার জন্য সহজলভ্য।
তিনি বলেন, আমাদের কমপ্লিট ফুড নিয়ে কথা বলতে হবে—সেখানে সবজি, মাছ ও মাংসের পাশাপাশি ডিমের গুরুত্ব বোঝাতে হবে। ক্যান্সার এখন ঘরে ঘরে দেখা দিচ্ছে। ডিম খেলে ক্যান্সার কমে—এই বার্তাটি মানুষের কাছে পৌঁছানো দরকার।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক ও ওয়াপসা বিবির সাবেক সভাপতি মসিউর রহমান।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন এবং অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান শিকদার।
‘বিশ্ব ডিম দিবস‘ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তারা জানান, দেশে বছরে একজন মানুষ ডিম খায় ১৩৭ টি। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
সভায় ওয়াপসা বিবির সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান বলেন, ‘এখনো ভোক্তা অধিকার আমাদের কেস উঠায় নাই। এখনো কম্পিটিশন কমিটি আমাদের কেস উঠায় নাই। আমাদের এখনো প্রতি মাসে অ্যাসোসিয়েশনগুলোর কয়েকটা কোম্পানিকে হাজির হতে হয়। আমাদের এত বাধা হলে আমরা কী করে উৎপাদন করব।’
উল্লেখ্য, সস্তা আমিষের উৎস হিসেবে জনপ্রিয় ডিম। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর তথ্যমতে, গেল এক দশকে দেশে ডিমের উৎপাদন বেড়েছে দিগুণ। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে মোট ডিম উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ৪৪০ কোটি পিস।
এসএ