নওগাঁর রাণীনগরের শিয়ালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে শিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমন ঘটনায় ক্ষুদ্ধ এলাকার সুধী সমাজের ব্যক্তি ও স্থানীয়রা।
স্থানীয় অনেকেই বলেন শিক্ষকরা যদি কমিটি গঠন করা নিয়ে এমন অশোভনীয় ঘটনা ঘটায় এবং নিজেদের ক্ষমতার বহি:প্রকাশ ঘটাতে এমন জঘন্য কর্মকান্ড করে তাহলে শিশুরা এই ধরণের শিক্ষকদের কাছ থেকে কি শিখবে।
শিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ সরকার মুঠোফোনে বলেন শিয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে তার বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক উত্তম কুমারকে প্রাথমিক ভাবে বাছাই করা হয় চলতি মাসের ৩ তারিখে।
বুধবার দুপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকুমার রায় ও সহকারি শিক্ষক আল
আমিন এসে বলেন প্রতিনিধি হিসেবে উত্তম কুমারকে নয় অন্য শিক্ষককে চূড়ান্ত করতে। তখন শিক্ষক উত্তম কুমারকে ডেকে বিষয়টি জানিয়ে অন্য শিক্ষকের নাম চূড়ান্ত করার সময় সম্পর্কে মামা–ভাগ্নে সুকুমার ও উত্তম কুমারের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে সহকারি শিক্ষক আল আমিন শিক্ষক উত্তম কুমারের শার্টের কলার ধরে এবং উত্তম কুমারের বৃদ্ধা আঙ্গুলীতে কামড় বসিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
তিনি আরও জানান সম্প্রতি সুকুমার ও উত্তম কুমারের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না তাই হয়তো বা তারা বাহিরের রেশারেশির বিষয়টি স্কুলে এসে দেখাচ্ছে। কিন্তু বিদ্যালয় প্রধানের কক্ষে তাদের কাছ থেকে এমন উচ্ছৃঙ্খল আচরন সত্যিই অশোভনীয়। আমি বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। দ্রুতই লিখিত ভাবে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাবো।
বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আল আমিন মুঠোফোনে বলেন, তারাই আমাদেরকে আগে মারপিট করেছে। আমরা এখন উপজেলা শিক্ষা অফিসে আছি আপনি (সাংবাদিক) অফিসে আসেন বিস্তারিত বলছি।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকুমার রায় মুঠোফোনে বলেন, আমি এখন কমিম্পউটারে অভিযোগ লিখছি। পরে আপনার সঙ্গে কথা বলবো।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদিরউজ্জামান বলেন, ঘটনাটি আমি জেনেছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করাবো।
এসএ/দীপ্ত নিউজ