সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে ইরান সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সৌদি বাদশাহকে আমন্ত্রণের বিষয়টি জানান ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সৌদি আরবের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এর আগে, ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে সৌদি সফরের আমন্ত্রণ জানায় রিয়াদ। রাইসি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। অবশ্য তার সফরের দিন এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
২০১৬ সালে তেহরানে সৌদি দূতাবাসে বিক্ষোভকারীদের হামলার পর আবার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দেশ দুটি। সৌদি সরকার কর্তৃক এক গুরুত্বপূর্ণ শিয়া ধর্মীয় নেতাকে মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে দূতাবাসে হামলা চালায় ইরানিরা।
চীনের মধ্যস্থতায় গত মাসে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সম্মত হয় ইরান ও সৌদি আরব। এর মধ্যদিয়ে দেশ দুটির সাত বছরের বৈরিতার অবসান হয়। ইতোমধ্যে একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস সেবাও চালু করেছে। এবার সৌদি বাদশাহকে তেহরান আমন্ত্রণ জানানো হলো।
সৌদি বাদশাহের ইরান সফর হবে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটি বড় ইঙ্গিত। ৮৭ বছর বয়সী বাদশাহ সালমানের স্বাস্থ্যগত জটিলতা রয়েছে। ২০১৯ সালের পর তিনি সৌদি আরবের বাইরে কোথাও ভ্রমণ করেননি। সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানই কার্যত দেশ পরিচালনা করছেন।
গত ৪০ বছর ধরে সৌদি ও ইরান সম্পর্ক চড়াই–উতরাইয়ের মধ্যদিয়ে গেছে। ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর কোনো সৌদি শাসক তেহরান সফর করেননি।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ