সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে দুজনের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হলেও খোজ মিলেছে মামুন মিয়ার বাড়ির। তার বাড়ি মোস্তাপুর গ্রামে, সেখানে চলছে শোকের মাতম। বুধবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে প্রতিবেশী ও স্বজনরা ভিড় করতে থাকেন তার বাড়িতে।
নিহত মামুন মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের মো. আউয়াল মিয়ার ছেলে।
বাড়িতে দেখা যায়, মামুনের বাবা আবদুল আওয়াল তেমন কথা বলছেন না। মা মমতাজ বেগম ছেলের জন্য হাউমাউ করে কাঁদছেন। মোবাইলে ছবি দেখে বুক চাপড়াতে দেখা যায় তাকে।
নিহতে মা মমতাজ বেগম জানান, চার ভাই বোনের মধ্যে মামুন সবার ছোট। দুর্ঘটনার সময় মামুন তার (মা) সঙ্গে কথা বলছিলেন। এছাড়া গেলো মাস আগে মামুন জীবিকার তাগিদে সৌদিতে পারি জমান।
এলাকাবাসীর দাবি যত দ্রুত সম্ভব নিহতের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে আনার। এছাড়া আহতদের মধ্যে দুনজন রয়েছে নিহত মামুনের স্বজন।
আহত মুরাদনগর উপজেলার রাজনগর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে জাহিদুল ইসলাম(২২) ও হাড়পাকনা গ্রামের ইয়ার হোসেন(৩০) গুরতর আহতবস্থায় মক্কার একটি হাসপাতালে ভতি রয়েছে।
মামুন মিয়ার বাবা চিৎকার করে বলেন, ‘আমার পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল।’
ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে পবিত্র নগরী মক্কায় যাওয়ার পথে সৌদি আরবের আসির অঞ্চলের আবহা জেলায় ৪৭ যাত্রী নিয়ে একটি বাস ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়। যাত্রীদের মধ্যে ৩৫ বাংলাদেশি ছিলেন।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জানায়, দুর্ঘটনাস্থলটি জেদ্দা থেকে আনুমানিক ৬০০ কিলোমিটার দূরে। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত হন। প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে ৮ বাংলাদেশি রয়েছেন। ওই আটজনের মধ্যে তিনজন কুমিল্লার।
কর্মসংস্থান দপ্তরের কর্মকর্তা দেব্রবত ঘোষ বলেন, ‘আমরা ঘটনা শুনেছি। মরদেহ দেশে নিয়ে আসার জন্য যা যা করতে হয়, তার সবই করব।’
অনু/দীপ্ত সংবাদ