চলছে রমজান রমজানের শেষে ইদুল ফিতর। ইদকে সামনে রেখে অনেকেই অলংকার হিসেবে স্বর্ণের গহনা পচ্ছন্দ করে থাকেন। তার উপর ইদের পর পর অনেকের বিয়ের ধুম পড়ে যায়। আশীরবাদ হিসেবে স্বর্ণের গহনা দিয়ে থাকেন অনেকে। তাই সোনা আসল বা নকল কিনা কিভাবে চিনবেন সেটি জেনে রাখা দরকার।
আসুন জেনে নেই সোনা আসল না নকল কিবাবে চিনবেন:-
আসল সোনা ২৪ ক্যারেটের হয়ে থাকে। তবে ২৪ ক্যারেটের সোনা দিয়ে গয়না তৈরি হয় না। কারণ সেটা এত নরম হয় যে, গয়না তৈরি করা সম্ভব হয় না। গয়না তৈরির জন্য মূলত ২২ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে ৯১.৬৬ শতাংশ সোনা থাকে।
খাঁটি সোনা চেনা আসলে একটি কঠিন ব্যাপার। কারণ আমাদের শপিংয়ের অভিজ্ঞতা থাকলেও সোনা চেনার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। দোকানদার যেটা দেয়, সেটাকেই খাঁটি সোনা মেনে নিয়ে আমরা কিনে ফেলি। তবে কয়েকটি উপায়ে চিনা যাবে সোনা আসল না নকল।
উপায়গুলো:-
সোনায় লোহা মেশানো
সোনায় যদি লোহা মেশানো থাকে, তা হলে চুম্বক ধরলেই সেটা টেনে নেবে। সোনায় লোহা মেশানো আছে কি না, তা চুম্বক ব্যবহার করে অবশ্যই পরখ করে নিন।
রাসায়নিক ও এসিড
বাজারে কিছু রাসায়নিক এবং এসিড আছে, যেগুলো ব্যবহার করে সোনার গুণগত মান যাচাই করা সম্ভব। ওই রাসায়নিক বা এসিড খাঁটি সোনার সংস্পর্শে এলে কোনো রকম বিক্রিয়া হয় না।
সাদা চিনেমাটির প্লেট
সাদা চিনেমাটির একটা প্লেটের সাহায্যে আপনি সোনা যাচাই করতে পারেন। সোনার গয়না চিনেমাটির প্লেটে ঘষে দেখুন। যদি থালার ওপর কালো দাগ পড়ে তা হলে বুঝতে হবে সোনা নকল। আর যদি হালকা সোনালি রং পড়ে তা হলে বুঝতে হবে সেটা আসল।
দুই গ্লাস পানি
একটা গভীর পাত্রের মধ্যে দুই গ্লাস পানি নিন। তাতে কিনে আনা সোনার গয়না ফেলে দেখুন সেটা ভাসছে কি না। যদি ভাসে তা হলে বুঝতে হবে সেটা নকল।
কামড়
হালকা কামড় দিয়ে ধরে রাখুন সোনা। যদি আসল হয় তা হলে সোনার ওপর কামড়ানোর হালকা দাগ পড়বে।
ভিনেগার
সোনার ওপরে কয়েক ফোটা ভিনেগার দিন। ভেজাল থাকলে রং পরিবর্তন হবে। তবে খাঁটি সোনা হলে সেটা হবে না।
ঘাম
ঘামের সংস্পর্শে এলেও আসল সোনায় কখনো ঘামের গন্ধ ধরে না। যদি ঘামের গন্ধ ধরে তা হলে বুঝতে হবে এটি খাঁটি সোনা নয়।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ