ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশপুর ইউপিতে বিধি লঙ্ঘণ করে পোষ্য কোটায় আবেদনকারীকে বাদ দিয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) নিয়োগে প্যানেল তৈরির অভিযোগ উঠেছে।
নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করে মুহাম্মদ শামসুল আলম অভিযোগ করেন, তার পিতা মোহাম্মদ শাহজাহান প্রায় ৪০ বছর চর মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসাবে কাজ করেছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ইতোপূর্বে নিকাহ রেজিষ্ট্রার পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ওই পদে পোষ্য এবং যোগ্য আবেদনকারী হিসেবে আবেদন করে। কিন্তু বিধিবহির্ভূতভাবে তাকে বাদ দিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে তিনজনের প্যানেল প্রেরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন বিধিমালা সংশোধনী ২০১৩ তে ৬ (ক) বিধি মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার নিকাহ রেজিস্ট্রারের মৃত্যু অথবা অবসরজনিত কারণে পদ শুন্য হলে সুনির্দিষ্ট যোগ্যতার প্রেক্ষিতে তার ছেলে নিয়োগে অগ্রাধিকার পাবে।
আবেদনকারী দাবি করেন, এ অনিয়মে কাজী প্যানেল তৈরি সংক্রান্ত কমিটির সদস্য সচিব সোনাগাজী উপজেলাধীন মতিগঞ্জ সাব–রেজিস্ট্রার মো. আকরাম হোসাইন রিয়াদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
আবেদনকারী মুহাম্মদ শামসুল আলমের অভিযোগ সত্য নয় দাবি করেন সার–রেজিস্ট্রার মো. আকরাম হোসাইন। তিনি বলেন, মুহাম্মদ শামসুল আলম চর মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদে কাজী নিয়োগে অগ্রাধিকার পাবার বিধান রয়েছে। মুহাম্মদ শামসুল আলমের নাম অগ্রাধিকার দিয়ে প্যানেল তৈরি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি প্রথমে না সূচক উত্তর দিলেও পরবর্তীতে বলেন, প্যানেল এখনো তৈরি হয়নি। প্যানেল তৈরি সংক্রান্ত কমিটি ৫ সদস্যের। এটি একা আমার কাজ নয়।
প্যানেল সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচনে অনৈতিক কোনো সুবিধার বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি তা সঠিক নয় বলে জানান।
চর মজলিশপুর ইউপিতে কাজী নিয়োগে একটি খসড়া প্যানেল তৈরির তথ্য প্রতিবেদকের কাছে এসেছে। তাতে উল্লেখিত তিনজন হলেন যথাক্রমে দ্বীন মোহাম্মদ, নুর মোহাম্মদ ফয়সল এবং মুহাম্মদ ইছমাইল।
উল্লেখ্য, কাজী প্যানেল তৈরি সংক্রান্ত কমিটিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে উপদেষ্টা করে অন্য সদস্যরা হলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উক্ত সাব–রেজিস্ট্রার।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চর মজলিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম.এ হোসেনকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
আফ/দীপ্ত নিউজ