এবারের রোজায় দেখা মিলছে ঋতু পরিবর্তনের। কখনো গরম, কখনোবা দেখা মিলছে বৃষ্টির। তাই এসময় শরীরকে হাইড্রেট রাখা জরুরি। প্রচুর পানি, মৌসুমি ফল ও সবজির জুস বা স্মুদি এ ধরনের তরল, ঠাণ্ডা খাবার ও আঁশজাতীয় খাবার রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত জুস বা খাবার না খেয়ে প্রাকৃতিক খাবার থেকে এনার্জি নেয়াই ভালো।
ইফতারির পর চা-কফি অল্প পান করলেও সেহেরিতে না খাওয়াই ভালো। তা না হলে পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ঘুমের সমস্যা হতে পারে। ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত তৈলাক্ত খাবার সেহেরিতে না খাওয়া ভালো। অনেকেই এসময় অতিরিক্ত পানি পান করেন, যা ক্ষতিকর। সেহেরিতে পানি পরিমাণমত খাওয়া জরুরি।
তৈলাক্ত খাবার খেলে লিপিড প্রোফাইল খারাপ হয়ে যেতে পারে, মানে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতে পারে। যারা রোজায় চর্বিজাতীয় খাবার মেনে চলবেন, তারা এই ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এমনকি যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে, এ নিয়ম মেনে চললে তারা সুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
কিডনি রোগ বা গেটে বাত যাদের (ইউরিক অ্যাসিড) আছে, তাদের সেহেরিতে ডালজাতীয় খাবার পরিমাণে খুব কম খাওয়া বা একেবারেই না খাওয়া উচিত।
খাবার পরিমিত খেলে রোজায় সুস্থ থাকা যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
এমি/দীপ্ত