শুল্ক আরোপের খবরে দেশের বাজারে রাতারাতি বেড়ে গেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম । যার ফলে ব্যবসায়ীরা কাজে লাগাচ্ছে পুরোনো অজুহাত।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) কেজিতে শতক ছুঁয়েছে দেশি পেঁয়াজ। সঙ্কটের অজুহাতে কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা অন্যদিকে একটু নিম্নমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে।
৩দিন আগেও পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়, অর্থাৎ ৩ দিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, যা ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি।
সূত্র জানায়, বছরে যে পরিমাণ পেঁয়াজ দরকার এবার তার বেশি উৎপাদন হয়েছে। ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুত রেখে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়াচ্ছে। সিন্ডিকেটের এই চক্রে রয়েছেন খুচরা থেকে বড় ব্যবসায়ী।
শনিবার (১৯ আগস্ট) ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারতের পেঁয়াজের ওপর আরোপিত নতুন এই শুল্ক চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। শনিবার দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে মুনাফা নিচ্ছে। আমদানি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বাড়তে পারে কিন্তু দেশি পেঁয়াজ বাড়ার কোনো কারণ দেখছি না।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন। এ বছর দেশীয় উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় বাংলাদেশে উৎপাদন বেশি হয়েছে এরপরও পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ