সুন্দরবনের খাল থেকে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলাধীন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের আন্ধারিয়া খালে ভাসমান অবস্থায় বন বিভাগ বাঘটির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
ওই দিন রাতে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বাঘটির ময়নাতদন্ত করা হয়। বন বিভাগের ধারণা গরমের কারণে বাঘটি হিট স্ট্রোকে মারা গেছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, বন বিভাগের সদস্যরা মঙ্গলবার বিকালে সুন্দরবনের জোংড়া এলাকার আন্ধারিয়া খালে টহলে ছিল। এসময় তারা একটি বাঘের মরদেহ ভাসতে দেখে উদ্ধার করে। ওই রাতে বাঘটির মরদেহ করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আনা হয়। পরে সেখানে বনবিভাগ ও দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে প্রাণীসম্পদ বিভাগ বাঘটির ময়নাতনন্ত সম্পূর্ণ করে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে গরমের কারণে ৩ থেকে ৪ দিন আগে বাঘটি হিটস্টোকে মারা গেছে। বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এছাড়াও বাঘের মরদেহ থেকে বিভিন্ন নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য। রিপোর্ট পাওয়ার পর বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে খালে পানি খেতে এসে বাঘটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাসমান অবস্থায় অর্ধগলিত বাঘের মরদেহ উদ্ধার করার পর মঙ্গলবার রাতে করমজলে আনা হয়। বাঘের চামড়া পচে গেছে। ময়নাতদন্ত করে বাঘের দাঁত ও হাড়গোড় সংরক্ষণ করা হয়েছে। ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য বাঘের লালা, চামড়া, লিভার, রক্তসহ বিভিন্ন আলামত সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, সুন্দরবনে বাঘের নিরাপ্তা নিশ্চিত করতে টহল ফাঁড়ির কার্যক্রমের পাশাপাশি স্মার্ট পেট্রোল করা হচ্ছে সুন্দরনে। বাঘ যাতে সুন্দরবন ছেড়ে লোকালয়ে বের হতে না পারে এজন্য বনের সীমানা এলাকায় বন বিভাগের টহল বাড়ানো হয়েছে।
সার্বক্ষণিক বন বিভাগ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে ডিএফও জানান।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ