যত্রতত্র প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের পর্যটনকেন্দ্র কলাগাছি ও দোবেকিতে পর্যটকবাহি ট্রলার চলাচল সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শনিবার ( ৬ মে )সকাল ১১টা থেকে বনবিভাগ ট্রলার চলাচলের অনুমতি বন্ধ করে দেয়।
শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জের খেয়াঘাটের ট্রলাক মালিক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় বেশকিছু পর্যটক সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য আসের মুন্সিগঞ্জে। দুটি ট্রলার সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার পরপরই ট্রলারের অনুমতিপত্র দেওয়া বন্ধ করে দেয় মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে পর্যটকরা প্লাস্টিকের বোতল ও খাবারের প্যাকেট বহন করায় ও তা যত্রতত্র ফেলে দেওয়ায় পরিবেশ ও নদী দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে ট্রলার চলাচলের অনুমতিপত্র দেওয়া সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান,সন্ধ্যার পর ট্রলার মালিকসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সাথে সহকারী বন সংরক্ষকের আলোচনা সভা হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি আশা করেন, ট্রলার চালকদের রুটি রুজি ও বনবিভাগের রাজস্ব আদায়ের সামগ্রিক বিষয়টি ভেবে সমাধান হয়ে যাবে।
সুন্দরবন,সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল চৌধুরী জানান,গতকাল শুক্রবার তিনি কলাগাছি পর্যটন কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। সেখানে প্লাস্টিক সামগ্রীর ছড়াছড়ি দেখতে পেয়েছেন। এমনকি নদীতেও ভাসমান প্লাস্টিক সামগ্রী দেখা গেছে। তাই ট্রলার চলাচলের অনুমতিপত্র সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে। সন্ধ্যায় বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে ট্রলার মালিকরা যদি পরিবেশ বিপর্যয় রোধে দায়িত্ব নিতে পারেন,তবে তাদের অনুমতিপত্র আবারো চালু করা হবে। সুন্দরবন সুরক্ষায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়েরও এবিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
আল/দীপ্ত সংবাদ