গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বহুল আলোচিত সোহেল রানা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আব্দুল হামিদ মেম্বার (৬০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আত্নগোপনে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ( ১৩ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর শ্রীপুর (গাছবাড়ী) গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিন সরকারের ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হত্যার শিকার সোহেল রানা ও আসামিদের বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় যাতায়াতের রাস্তার বিষয় নিয়ে প্রায় সময় বিরোধ সৃষ্টি করে মারপিট ও খুন করার হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সোহেল রানাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে সোহেল রানাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরবর্তীতে ১৪ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল রানা মারা যায়। এ ঘটনায় সোহেল রানার স্ত্রী মোছা. সুমি আক্তার বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পর থেকে ধৃত আব্দুল হামিদ মেম্বার আত্নগোপনে ছিলেন। তাকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখে ১২ এপ্রিল গাইবান্ধা ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় আসামী আব্দুল হামিদ মেম্বারকে সীচা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেতারকৃত আব্দুল হামিদ মেম্বার বর্ণিত হত্যা মামলার আসামি বলে স্বীকার করেছে এবং উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে গোপন অনুসন্ধান চলছে। ধৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আল/দীপ্ত সংবাদ