মাগুরায় সোনার দোকানে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে চুরির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২২ ভরি ১০ আনা সোনা, ২৯০ ভরি রুপা ও ব্রোঞ্জের তৈরি বিভিন্ন সাইজের ৩৪ পিস চুরি উদ্ধার করেছে।
রবিবার (১৯ মার্চ ) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজা।
গ্রেফতার কৃত আসামিরা হচ্ছেন, নড়াইল জেলার লোহাগাড়া থানার বৈরকন্ঠপুর গ্রামের তহর আলী শেখের ছেলে মোঃ আবুল হাসান (৫২), বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার ঝনঝনিয়া গ্রামের লিয়াকত আলী শেখের ছেলে মিন্টু শেখ (২৫),বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত আমজাদ শেখ এর ছেলে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ওরকম মামুন (৫০), বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার কুমলাই গ্রামের ইউসুফ এর ছেলে মোঃ ইয়াসিন (৫০), গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ান থানার টিয়ারডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল আলীম এর ছেলে মোহাম্মদ মেহেদী হাসান (৪৮) ও মাগুরা জেলার পুলিশ লাইন পশ্চিমপাড়ার শহর আলী বিশ্বাসের ছেলে মিরাজুল ইসলাম।
পুলিশ ৬ জনকে মাগুরা জেলার বিভিন্ন স্থান সহ নড়াইল জেলা লোহাগাড়া থানা ও বাগেরহাট সদর থানা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে আবুল হাসানের বিরুদ্ধে তিনটি, মুস্তাফিজুর এর নামে তিনটি ইয়াসিনের নামে তিনটি মেহেদী হাসানের নামে একটি ও মিরাজুল ইসলামের নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা চুরি ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপরাধে ছয়টি মামলা রয়েছে।
এর আগে মাগুরা শহরের পুরাতন বাজার সোনা পট্টির বৈদ্যনাথ জুয়েলার্সে শুক্রবার রাতে মাটির নিচে সুরঙ্গ খুড়ে সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তৎক্ষণাৎ দোকানের মালিক তার দোকান থেকে ৫০ ভরি সোনা চুরি হয়েছে বলে দাবি করেন। এঘটনায় বৈদ্যনাথ জুয়েলার্সের মালিক বিমল বিশ্বাস সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
দোকান মালিক ৫০ ভরি সোনা চুরি হয়েছে বলে দাবি করলেও পুলিশ বলছে ক্ষতির পরিমান নিরুপনে তারা তদন্ত করছেন।
এই ঘটনার সাথে আরো কোন অপরাধে জড়িত আছে কিনা তার নিশ্চিত হওয়ার জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজা।
আল/দীপ্ত