পাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মাঝে উত্তেজনার পর জিরো পয়েন্টে না যেতে দেশের নাগরিকদের প্রতি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে ৫ শতাধিক ভারতীয় নাগরিক ও বিএসএফ সদস্য। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সীমান্তে জড়ো হতে থাকেন স্থানীয়রা। ফলে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। এ সময় দুই দেশের নাগরিকের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএসএফ সদস্যরা হঠাৎ করেই কাঁটাতারের বেড়ার পাশে ৫ শতাধিক ভারতীয় নাগরিক নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে তারা বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় একাধিক ককটেলও ফাটান তারা। পাশাপাশি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন বিএসএফ সদস্যরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশের ভেতরে লাগানো বেশ কিছু আম গাছ কেটে নষ্ট করা হয়েছে।
এ খবরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন বিজিবি সদস্যরা। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে বিজিবির ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠক শেষে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, বাংলাদেশিদের আম গাছ কাটা নিয়ে সীমান্তের দুই পাশের জনগণের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তবে এই সময়ে বাংলাদেশি সাধারণ নাগরিকদের সীমান্তের জিরো লাইনের কাছে না যেতে আহ্বান জানান তিনি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিএসএফ সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে, যাতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হয়েছে। এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং বিষয়টি বিজিবির উচ্চপর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতীয় নাগরিকরা যে আম গাছ কেটে ফেলেছে, এজন্য বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে তারা ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।’
এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি চৌকা সীমান্তে আইন অমান্য করে বিএসএফের পক্ষ থেকে শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করলে বিজিবি বাধা দেয়। এতে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এর দশ দিন যেতে না যেতেই সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল।