চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। রবিবার (৫ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ ও কুমিরা স্টেশনের দুটি টিম উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক জানান, ‘শনিবার রাতে উদ্ধার কাজ স্থগিতের পরও সারারাত ঘটনাস্থলে আমাদের টহল দল ছিল। রবিবার সকাল ছয়টা থেকে আমাদের উদ্ধার কাজ আবার শুরু হয়েছে৷’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, ‘এখন পর্যন্ত নিহত সেই ৬ জনই। তবে আহত ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অন্যদিকে সীতাকুণ্ডের একটি হাসপাতালে চারজন ভর্তি আছেন বলে জানতে পেরেছি। সেই হিসেবে এখন আহত ২৪ জন। তবে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২০ জনের মধ্যে দুইজনকে এরই মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে এখনো বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজন রয়েছেন আইসিইউতে।’
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ পর্যন্ত বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছেন।
বিস্ফোরণের কারণ জানতে চাইলে শনিবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ–পরিচালক (ডিডি) মো. আব্দুল হালিম বলেন, কারখানাটিতে অক্সিজেন উৎপাদন করা হয় এবং সিলিন্ডার রিফিল করা হয়। যান্ত্রিক ত্রুটি অথবা ব্যবস্থাপনার কারণে দুর্ঘটনা হতে পারে। তদন্ত শেষে স্পষ্ট করে বলা যাবে।
এমি/দীপ্ত