সিরিয়ার একটি মিলিটারি একাডেমিতে ড্রোন হামলায় শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সরকার নিয়ন্ত্রিত হোমস শহরে এ হামলার জন্য ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’কে দায়ী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) একটি গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান শেষে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্থানটি ছেড়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট পর এ ঘটনা ঘটে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
সরকারি বার্তা সংস্থা সানা প্রকাশিত সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় শহর হোমসে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো সামরিক একাডেমির স্নাতক অনুষ্ঠানে হামলা করেছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এ হামলায় শতাধিক নিহত ও ১২৫ জন আহত হয়েছেন। সিরিয়া সরকারকে সমর্থনকারী জোটের একটি সূত্র জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা প্রায় ১০০।
সিরিয়ার সেনা স্থাপনায় সর্বকালের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলাগুলোর অন্যতম এটি। ১২ বছর ধরে গৃহযুদ্ধে ক্ষত–বিক্ষত দেশটিতে এ ধরনের অস্ত্রবাহী ড্রোনের ব্যবহারও নজিরবিহীন।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, হোমসের সামরিক একাডেমিতে হামলায় নিহতদের মধ্যে বেসামরিক ও সামরিক কর্মী রয়েছেন। ‘সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠী এ হামলায় ড্রোন ব্যবহার করেছে। বিবৃতিতে কোনো সংগঠনের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠীও দায় স্বীকার করেনি।
‘পুরো শক্তি দিয়ে’ এ হামলার জবাব দেয়া হবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সিরিয়ার সরকারি বাহিনী গতকাল দিনভর ইদলিবের বিরোধী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে।
এ যুদ্ধে সিরিয়ার সেনাবাহিনী প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। রাশিয়া ও ইরানের পাশাপাশি তেহরান সমর্থিত লেবানন, ইরাক ও অন্যান্য দেশের যোদ্ধাদের সামরিক সহায়তার ওপর অনেক বেশি নির্ভর করছে এখন।
আসাদ দেশের বেশিরভাগ অংশ পুনরুদ্ধার করেছেন। তবে তুরস্কের সীমান্তবর্তী উত্তরের একটি অংশ এখনো কট্টরপন্থীসহ সশস্ত্র বিরোধী দলগুলোর দখলে রয়েছে।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ