সিরিয়ায় উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে কলেরা। কলেরায় এখন পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রশাসন ধারনা করছে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা না থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
হোয়াইট হেলমেটস এক টুইটার পোস্টে লিখেছে, অবকাঠামো, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা লাইন ভূমিকম্পের কারণ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় কলেরা মহামারি আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় অধিকারকর্মী নূর গুরমুশ আল–জাজিরাকে বলেছেন, ‘ভূমিকম্পের আগেও এ অঞ্চলটি যথাযথ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সে সময়ও ৬৩ শতাংশ শরণার্থী শিবিরে সঠিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাব ছিল এবং ৪৩ শতাংশ শিবিরে বিশুদ্ধ পানির অভাব ছিল। আরও হাসপাতাল এবং চিকিৎসাকর্মীরা এখনো ভূমিকম্পে আহতদের সেবা দিতেই ব্যস্ত। এর মধ্যে যদি কলেরার তীব্র প্রাদুর্ভাব শুরু হয়, তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
গত বছর সিরিয়ার উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলে কলেরা শুরু হয়। কলেরায় ৫৬৮ জন গুরুতর অসুস্থ হয়েছিল এবং এখন পর্যন্ত কলেরায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অনু/দীপ্ত সংবাদ