সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি গত দুই দিন ধরে কিছুটা কমলেও জেলার বন্যা পরিস্থতি এখনও অপরিবর্তিত থাকায় দূর্ভোগ কমেনি বানভাসিদের।
চলতি বছর বন্যায় জেলার পাঁচ উপজেলার চরাঞ্চলবেষ্টিত ৩৪টি ইউনিয়নের ১৮ হাজার পরিবারের প্রায় ৮৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে, বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে।
এছাড়া, পাঁচ উপজেলায় ৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। যার ফলে পাঠদান কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এরই মধ্যে ৬ হাজার ৪৯৭ হেক্টর জমির রোপা আমন, পাট, তিল, মরিচ, বাদাম, বোনা আমন, শাক–সবজি, বীজতলায় পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ফলে স্থানীয় কৃষকরা অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী আমরা ইতোমধ্যেই বন্যাকবলিতদের মাঝে ৯৫ টন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। আরও যথেষ্ট মজুদ আছে, সময়মতো সেগুলো বিতরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানি ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজুল/এসএ/দীপ্ত সংবাদ