সাভারে বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে ভাঙা হাড়ের অবৈজ্ঞানিক কবিরাজি চিকিৎসা কয়েক যুগ ধরে চলছে। এলাকাবাসী এই চিকিৎসা গ্রহনের পর দেখা যায় হাড় সঠিক পজিশনে থাকে না ও তার চামড়া নষ্ট হয়ে যায়।
অনেকেই এই জায়গাকে ভাঙা হাড়ের চিকিৎসার গ্রাম বলে চেনেন। রাস্তার পাশে ভাঙা হাড়ের চিকিৎসার অনেক সাইনবোর্ড টানানো থাকে। একটা দীর্ঘমেয়াদি সময়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের মলম,পাতা ব্যবহার করে বাঁশের কঞ্চি আর দড়ি দিয়ে বাঁধা হয় ভাঙা হাত। এরপর লাগানো হয় গাছগাছালি থেকে তৈরি এক ধরনের তরল।
যেকোন উপায়ে জোড়া দেওয়া হচ্ছে হাড়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই গ্রামে রোগী আসে। অনেককে আবার ক্লিনিকে রেখে দেয়া হয়। রোগীদের দেখাশোনার জন্য সেবিকা রয়েছে। তাদের কারও চিকিৎসা দেওয়ার কোনো অনুমোদন নেই। শুধু রয়েছে পারিবারিক উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া কবিরাজি অভিজ্ঞতা। কবিরাজ জানান, ‘৪৪বছর ধরে আমার চিকিৎসা চলছে।‘ তাদের পূর্বপুরুষরা শিখিয়ে গেছেন কিভাবে এই চিকিৎসা দিতে হয় এবং কোন গাছের পাতা ব্যবহার করতে হয়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, এ ধরনের অপচিকিৎসায় রোগী স্থায়ী পঙ্গুত্বের শিকার হতে পারে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিএমডিসির অনুমতি ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম বৈধ নয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা রোগীর অভিভাবকদের এ ধরনের কবিরাজি চিকিৎসার ব্যপারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
অনু/দীপ্ত সংবাদ