‘আয়রন গার্ল’ শাহনাজ পারভীন শিমুর সঙ্গে বাগদান সেরেছেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা ভাইরাল, চলছে ব্যাপক আলোচনাও। ভাইরাল হওয়া ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, সোহেল তাজ হাঁটু গেড়ে বসে শিমুর হাতে আংটি পরিয়ে দিচ্ছেন। এ সময় পেছনে বাগদান সম্বলিত একটি পোস্টারও দেখা যায়।
এরপরই নেটিজেনরা এ নিয়ে আলোচনা–সমালোচনা শুরু করে। বলা হচ্ছে ৫৫ বছর বয়সী সোহেল তাজ সাতটি বিয়ে করেছেন।
সপ্তম বিয়ে প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিয়েছেন সোহেল তাজ।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেছেন আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে– আমি কিছুই বলবো না কারণ এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়’ – ২টি কমেন্ট শেয়ার করলাম তা থেকে আপনারাই বুঝে নিন কোনটা সঠিক আর কোনটা মিথ্যা।
দৃষ্টি আকর্ষণ: গণহত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন/নিপীড়নকারী, দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র হত্যাকারী চোর/মাফিয়াদের সমর্থনকারী ব্রেন ওয়াসড নব্য কাওয়া বডিলীগের চামচাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিঃ দ্রঃ নীতি আদর্শ বিচ্যুত খারাপ মানুষের প্রশংসা আমার প্রয়োজন নাই– আমি আপনাদেরকে চিনি।
বিঃদ্রঃ আওয়ামী লীগের ব্রেইন ওয়াশড নষ্ট পচা নীতি/আদর্শবিচ্যুত লুটেরা, খুনি, হত্যা, গুম, নির্যাতনকারীদের সমর্থক সকলকে বলবো অনতিবিলম্বে আমার এই ফেইসবুক পেজটি আনফলো করতে– আর অনুরোধ থাকবে নিজের বিবেককে জাগিয়ে আত্মউপলব্ধি আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করার।
উল্লেখ্য, সোহেল তাজ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে গাজীপুর–৪ (কাপাসিয়া) থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে পান।
২০০৮ সালে একই আসন থেকে আবারও সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সোহেল তাজ। তবে ২০০৯ সালের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে ব্যক্তিগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেন।
এসএ